আবারও জেরার মুখে বলিউড অভিনেত্রী নোরা ফাতেহি। আর্থিক জালিয়াতির মামলায় বলিউডের ‘সাকি সাকি’ গার্লকে শুক্রবার (দোসরা সেপ্টেম্বর) সাত ঘণ্টা ধরে জেরা করে দিলি­ পুলিশের ইকোনমিক উইংস। ২০০ কোটি রুপি পাচারের এই মামলায় মূল অভিযুক্ত সুখেশ চন্দ্রশেখর নামের এক ব্যক্তি। সুকেশের কাছ থেকে দামী উপহার নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে নোরার বিরুদ্ধে।

দিলি­ পুলিশের ইকোনমিক উইংসের পক্ষে দায়ের এফআইআরের ভিত্তিতে এই মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)। পাশাপাশি নিজেদের তদন্ত বহাল রেখেছে দিলি­ পুলিশের ইকোনমিক উইংস।

জানা যায়, অভিযুক্ত সুখেশের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি এবং দিলি­ পুলিশের ইকোনমিক উইংস।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন নোরাকে ৫০টিরও বেশি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আর এ তদন্তে সহযোগিতা করেন অভিনেত্রী নিজেই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিএমডাব্লিউ গাড়ি নিয়ে নোরাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘গাড়ি দেওয়া নিয়ে আমি ববিকে (নোরার পারিবারিক বন্ধু) জানিয়েছি। ববি এ ব্যাপারে সুখেশের সঙ্গে কথা বলেছে। আমি তাকে গাড়িটি নিয়ে যেতে বলেছিলাম। ’

দামি দামি ব্যাগ অন্যসব উপহার নিয়ে বলেন, ‘আমি সুখেশের থেকে কখনো এমন কিছু নেয়নি। ’ তবে গুচি ও আইফোন নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি একটা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গিয়েছিলাম। সেখানে আমাকে এসব দেওয়া হয়। ’

‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’র আওতায় ইডি কর্র্মতাদের সামনে আগেই বয়ান নথিভুক্ত করেছেন নোরা। তবুও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি তার।

উলে­খ্য, গত আগস্টেই ইডির অতিরিক্ত চার্জশিটে আর্থিক কেলেঙ্কারিকে যুক্ত থাকায় বলিউডের আরেক অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের নাম উঠে এসেছে। ইডির দাবি, তদন্তে স্পষ্ট বোঝা গেছে, জ্যাকুলিন জানতেন সুকেশ একজন জালিয়াত।